ভাইরাস কি - উপকারিতা ও অপকারিতা - এর প্রকারভেদ
প্রিয় পাঠক, ভাইরাসের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে আগ্রহী আমাদের এই পোস্ট এর
মদ্ধে আপনি ভাইরাস সম্পর্কে যা জানতে পারবেন তা হলো- ভাইরাস কি, ভাইরাস কাকে বলে,
ভাইরাসের উপকারী দিক সম্পর্কে ভাইরাসের অপকারী দিক সম্পর্কে, ভাইরাসের প্রকারভেদ
সম্পর্কে। ভাইরাস কি কি রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাসে বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও থাকছে
আমাদের পোস্টে।
ভাইরাস জীবিত নাকি নির্জীব ভাইরাসের জীবীও বৈশিষ্ট্য কি কি আর নির্জীব
বৈশিষ্ট্য কি কি এই সকল বিষয় নিয়ে ভাইরাস সম্পর্কিত সকল বিষয়
নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি চলুন তবে দেরি না করে শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ উপকারিতা ও অপকারিতা - এর প্রকারভেদ
ভাইরাস কি এবং ভাইরাস শব্দের অর্থ কি
ভাইরাস হলো রোগ সৃষ্টিকারী বস্তু। ভাইরাস হলো নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন দিয়ে গঠিত
অকোষীয়, অতি-অনুবীক্ষনীক, বাধ্যতামূলক পরজীবী বস্তু যা জীব দেহের অভ্যন্তরে
সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বিরাজ
করে সেটা হল ভাইরাস তাকে ভাইরাস বলা হয়ে থাকে।
ভাইরাস ল্যাটিন শব্দ যার অর্থ হল বিষ। ভাইরাস আকারে এত ছোট যে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ
যন্ত্রের সাহায্যে দেখতে হয়, সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে দেখা যায় না। তাই
ভাইরাসকে বলা হয় অতি-আণুবীক্ষণিক অর্থাৎ ভাইরাস হলো রোগ সৃষ্টিকারী
অতি-আণুবীক্ষণিক বস্তু।
ভাইরাসের উপকারিতা ও অপকারিতা
ভাইরাস আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি করে থাকে আবার অনেক ভাইরাস আছে যেগুলো আমাদের
অনেক উপকারে করে। আজ আমরা দেখবো কোন ভাইরাস কি ক্ষতি করে এবং ভাইরাস আমাদের কি কি
উপকারে আসতে পারে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
ভাইরাসের অপকারিতা
১.মানুষের- ভাইরাস মানবদেহে বসন্ত, হাম, পোলিও, জলাতঙ্ক, ইনফ্লুয়েঞ্জা, হারপিস,
ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, কভিড-১৯, ভাইরাল হেপাটাইটিস প্রভৃতি মারাত্মক রোগ সৃষ্টি
করে থাকে।
২.উদ্ভিদের- বিভিন্ন উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিতে যেমন- সিমের মজাইক রোগ, আলুর লিফারাল
পেঁপের লিফরোল লিফকার্ল, ক্লোরোসিস ধানের টুংরো রোগসহ প্রায় ৩০০ উদ্ভিদ রোগ
ভাইরাস দ্বারা ঘটে থাকে।
৩.প্রাণীর- গরুর বসন্ত; ভেড়া, ছাগল, গরু, শুকুর, মহিষ, ইত্যাদি প্রাণীর ফুড এন্ড
মাউথ রোড অর্থাৎ এদের পা ও মুখের বিশেষ রোগক্ষত রোগ এবং মানুষ কুকুর, ও বিড়ালের
দেহে জলাতঙ্ক রোগ ভাইরাস দিয়ে সৃষ্টি হয়।
৪. ফায ভাইরাস মানুষের কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে থাকে।
৫.এইডস রোগ- বহুল আলোচিত এইডস রোগের কারণ হিসেবেও বিজ্ঞানীগণ ভাইরাসকে দায়ী
করছেন। এইচআইভি (HIV- Human ImmunoDeficiency Viras) দিয়ে এইডস রোগ হয়। যা
বর্তমান বিশ্বে মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ হিসেবে ধরা হয়।
৬.ইবোলা ভাইরাস- একসূত্রক RNA দ্বারা গঠিত। আফ্রিকার জায়ার-এ ইবোলা আক্রমণের
মহামারী দেখা দেয়। ইবোলা ভাইরাসের আক্রমণে দেহের কোষ ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ
হয়। ইবোলা একটি মারাত্মক মরণব্যাধি ভাইরাস সর্বপ্রথম ১৯৭৬ সালে আফ্রিকার কঙ্গোর
এগুলা নদীর তীরে একজন কৃষক মারা যান।
৭.কভিড-১৯- এই রোগ নোভেল করোনা ভাইরাস (SARS-CoV-2) সংক্রমনে হয়ে থাকে। এবং এই
ভাইরাসটি তে আক্রান্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ভাইরাসের অপকারিতা
১. টিকা তৈরিতে- বসন্ত, পোলিও, প্লেগ এবং জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক টিকা ভাইরাস
দিয়ে তৈরি করা হয়।
২. ভাইরাস হতে "জন্ডিস" রোগের টিকা তৈরি করা হয়।
৩. কলেরা টাইফয়েড আমাশয় ইত্যাদি রোগে ঔষধ তৈরিতে ব্যাকটেরিয়াওফায ভাইরাস
ব্যবহার করা হয়।
৪. ভাইরাসকে বর্তমানে বহুল আলোচিত "জেনেটিক প্রকৌশল" বাহক হিসেবে ব্যবহার করা
হয়।
৫. ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণে ভাইরাস ব্যবহার করা হয়।
৬. কতিপয় ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ দমনেও ভাইরাসের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য করার মত।
যুক্তরাষ্ট্রে কীটপতঙ্গ নাশক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়
৭. ফায ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে, ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের হাত থেকে
মানুষকে রক্ষা করে।
ভাইরাস এর জনক কে
গুটি বসন্ত, পীত জ্বর ইত্যাদি ভাইরাসঘটিত রোগ পৃথিবীতে বহু আগে থেকেই ছিল কিন্তু
ভাইরাস সম্বন্ধে কোন ধারণা ছিল না। বিজ্ঞানী অ্যাওয়ার্ড জেনার (Edward Jenner)
১৭৯৬ সালে সর্বপ্রথম ভাইরাসঘটিত বসন্ত রোগের কথা উল্লেখ করেন এরপর সর্বপ্রথম
আবিষ্কৃত ভাইরাস হলো (TMV) "টোবাকো মোজা ভাইরাস"।
হল্যান্ড বিজ্ঞানী (Adolf Mayer) ১৮৮৬ সালে তামাক গাছের পাতার ছোপ ছোপ দাগ
বিশিষ্ট রোগকে টোবাকো মজাইক রোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরে ১৮৯২ সালে রাশিয়ান
বিজ্ঞানী দ্বিমত্রি আইভানোভসকি প্রমাণ করেন যে রোগাক্রান্ত তামাক পাতার রস
ব্যাকটেরিয়ারোধক ফিল্টার দিয়ে ফিল্টার করার পরও সুস্থতা গেছে রোগ সৃষ্টি করতে
পারে।
তাই তিনি বলেন যে, তামাক গাছে মুজাইক জীবাণু ব্যাকটেরিয়া থেকেও ক্ষুদ্রতর কিন্তু
তিনি ভাইরাস শনাক্ত করতে পারেননি তারপরেও "দ্বিমত্রি আইভানোভসকি" কে ভাইরাসের
আবিষ্কারক বলা হয়
ভাইরাস এর প্রকারভেদ
১. আকৃতি আনুযায়ী ভাইরাসের প্রকারভেদঃ
- দন্ডাকারঃ এদের আকার অনেকটা দন্ডের মতো। উদাহরন- টোবাকো মোজাইক ভাইরাস (TMV), আলফা-আলফা মোজাইক ভাইরাস ইত্তাদি।
- গোলাকারঃ এদের দেখতে অনেকটা গোলাকার। উদাহরণ- পলিও ভাইরাস, TIV, HIV, ডেঙ্গু।
- ঘনক্ষেত্রাকার বা বহুভুজাকারঃ এসব ভাইরাস দেখতে অনেকটা পাউরুটির মতো। উদাহরণস্বরূপ- হারপিস, ভাক্সিনিয়া।
- ব্যাঙ্গাচি আকারঃ এরা মাথা ও লেজ- এ দুই অংশে বিভক্ত। উদাহরণস্বরূপ- T2 T4 T6 ইত্তাদি
- সূত্রাকার/সিলিন্ড্রিক্যালঃ এদের দেখতে অনেকটা সিলিন্ডারের মতো। উদাহরণ- মোটরের স্ট্রিক ভাইরাস, ইবোলা ভাইরাস।
- ডিম্বাকারঃ এরা অনেকটা ডিম্বাকার। উদাহরণ- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস।
২. নিউক্লিক এসিডের ধরন অনুযায়ীঃ নিউক্লিক এসিডের ধরন অনুযায়ী ভাইরাস
দুই ধরনের হয়,
- DNA ভাইরাসঃ যে ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড হিসেবে ডিএনএ থাকে তাদেরকে ডিএনএ ভাইরাস বলা হয়। উদাহরণ- ভ্যাকসিনিয়া, ভেরিওয়াল, T2, TIV
- RNA ভাইরাসঃ যে ভাইরাসের নিউক্লিক এসিড হিসেবে আরএনএ থাকে তাদেরকে আর এন এ ভাইরাস বলা হয়। উদাহরণ- নভেল করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু, পোলিও, TMV, HIV, নিপা, চিকনগুনিয়া।
৩.বহিঃস্থ আবরণ অনুযায়ীঃ ভাইরাস দুই প্রকার
- বহিঃস্থ আবরণীঃ যে ভাইরাসগুলো বহিঃস্থ আবরণ যুক্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস, হারপিস, HIV ভাইরাস।
- বহিঃস্থ আবরণহীনঃ যে ভাইরাস গুলোর বহিঃস্থ আবরণ থাকে না। উদাহরণস্বরূপ- T2, TMV.
৪.পোশাক দেহ অনুসারেঃ
- উদ্ভিদ ভাইরাসঃ উদ্ভিদের রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে উদ্ভিদ ভাইরাস বলে। যেমন- TMV, BYV (Bean Yellow Virus)
- প্রানী ভাইরাসঃ প্রাণী দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাসকে প্রাণী ভাইরাস বলে। যেমন- HIV, ভ্যাকসিনিয়া, নভেল করোনা ভাইরাস।
- ব্যাকটেরিওফাযঃ ভাইরাস যখন ব্যাকটেরিয়ার অপুর পরজীবী হয় এবং ধ্বংস করে তখন তাকে ব্যাকটেরিওফায বলে। যেমন- T2, T4, T6 ব্যাকটেরিওফায।
- সায়ানোফাযঃ সায়ানোব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী ভাইরাসকে সায়ানোফায বলে। যেমন- LPP1, LPP2
ভাইরাস জনিত রোগ কি
- AIDS ---- মানুষ ------ HIV ভাইরাস
- ডেঙ্গু ---- মানুষ ------ ফ্লাভি ভাইরাস
- বার্ড ফ্লু --- হাঁস / মুরগি / পাখি ---- ইনফ্লুয়েঞ্জা
- চিকনগুনিয়া ---- মানুষ ----- চিকনগুনিয়া ভাইরাস
- Swine flue ---- মানুষ ------ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
- SARS ---- মানুষ -------- নিপা ভাইরাস
- জলাতঙ্ক ---- মানুষ ------ Rabis Virus
- গুটিবসন্ত ---- মানুষ ----- ভেরিওলা ভাইরাস
- জলবসন্ত ---- মানুষ ------ Varicella-zoster Virus
- ভাইরাল নিউমোনিয়া ---- মানুষ ----- Adeno Virus
- কোষের লাইসিস ---- মানুষ ---------- Ebola Virus
- সাধারন সর্দি ---- মানুষ ---------- Rhino Virus
- হাম ---- মানুষ ----------- রুবিওলা ভাইরাস
- পলিওমাইলাইটিস ---- মানুষ ------ পোলিও ভাইরাস
- ইনফ্লুয়েঞ্জা ---- মানুষ -------- ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস
- হারপিস ---- মানুষ -------- হারপিস ভাইরাস
- জন্ডিস ---- মানুষ ------ হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস
- পীতজ্বর ---- মানুষ ----- ইয়েলো ফিভার ভাইরাস
- গো-বসন্ত -------গরু ----- ভ্যাকসিনিয়া ভাইরাস
- পা ও মুখের ক্ষত -----গরু/ ভেরা/ ছাগল/ মহিষ ----- ফুড এন্ড মাউথ ভাইরাস
- ইঁদুরের টিউমার------- ইঁদুর ------ পোলিওমা ভাইরাস
- কোভিড ১৯--------- মানুষ ----- নভেল করোনা ভাইরাস
- এনোজেনিটাল------ মানুষ ----- পেপিলোমা ভাইরাস
ভাইরাস এর বৈশিষ্ট্য
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য ২ ধরনের হয়ে থাকে। কারণ আমরা জানি ভাইরাস ভাইরাস জীবদেহের
অভ্যন্তরে সক্রিয় কিন্তু জিবদেহের বাইরে নিষ্ক্রয় আর তাই এই ২ ধরনের ভিত্তিতে
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য ২ রকম । চলুন নিচে দেখে নেওয়া যাক ভাইরাসের এই ২ ধরনের
বৈশিষ্ট্য।
ভাইরাসের জড়-রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য
১ ভাইরাস অকোষীয় ও অতি অণুবীক্ষণিক। এদের ফাইটোপ্লাজম, কোষঝিল্লি, কোষ প্রাচীর,
রাইবোজোম, মাইটোকন্ড্রিয়া এসব নেই।
২ এদের নিজস্ব কোন বিপাকীয় এনজাইম নেই এবং খাদ্য গ্রহণ করে না ফলে পুষ্টি
ক্রিয়া ও নেই।
৩ ভাইরাস জীব কোষের সাহায্য ছাড়া স্বাধীনভাবে প্রজনন ক্ষমা নয়।
৪ ব্যাকটেরিয়ারোধক ফিল্টারে ভাইরাস ফিল্টার যোগ্য নয়।
৫ ভাইরাসকে কেলাসিত করা যায়, সেন্ট্রিফিউজ করা যায়, ব্যাপন করা যায়, পানির
সাথে মিশিয়ে সাসপেনশন তৈরি করা যায়, তলানিকরন করা যাই।
৬ জীব কোষের বাইরে ভাইরাস রাসায়নিক কণার মতো নিষ্ক্রিয়।
৭ ভাইরাসের দৈহিক বৃদ্ধি নেই এবং পরিবেশের উদ্দীপনায় সাড়া দেয় না।
৮ ভাইরাস রাসায়নিকভাবে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড এর সমাহার মাত্র।
৯ ভাইরাস এসিড, ক্ষার ও লবণ প্রতিরোধ সক্ষম এবং এন্টিবায়োটিক এদের দেহে কোন রোগ
প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে না।
ভাইরাসের জীবীয় বৈশিষ্ট্য
১. পোশাক দেহের অভ্যন্তরে ভাইরাস করতে পারে সংখ্যা বৃদ্ধি।
২. ভাইরাসের দেহে জেনেটিক বস্তু ডিএনএ, আর এনএ এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত।
৩. ভাইরাস সুনির্দিষ্ট ভাবে বাধ্যতামূলক পরজীবী।
৪. ভাইরাস পরিব্যক্তি ঘটাতে এবং প্রকরণ তৈরিত করতে সক্ষম।
৫. এদের অভিযোজন ক্ষমতা রয়েছে।
৬. এদের জিনগত পুনর্ববিন্যাস ঘটতে দেখা যায়। ভাইরাসকে জীব ও জড়ের সেতুবন্ধন বলা
হয়।
করোনা ভাইরাসের দৈর্ঘ্য কত
কোভিড-১৯ এই রোগের ভাইরাসের নাম হলো নভেল করোনা ভাইরাস। নভেল করোনা ভাইরাস একটি
RNA ভাইরাস। আকৃতি গোলাকার, এবং ব্যাস ৪০০ nm বিশিষ্ট। নভেল করোনা ভাইরাস বা
(SARS-CoV) ভাইরাস।
ভাইরাস কি জীবিত নাকি নির্জীব
ভাইরাস কি জীবিত নাকি নির্জীব এটা জানার আগে আমদের জানতে হবে ভাইরাস কি তাহলেই
আমরা জানতে পারবো ভাইরাস কি জীবিত নাকি নিরজিব। ভাইরাস হলো নিউক্লিক এসিড ও
প্রোটিন দিয়ে গঠিত অকোষীয়, অতি-অনুবীক্ষনীক, বাধ্যতামূলক পরজীবী বস্তু
যা জীব দেহের অভ্যন্তরে সক্রিয় হয়ে রোগ সৃষ্টি করে কিন্তু জীবদেহের বাইরে
নিষ্ক্রিয় অবস্থায় বিরাজ করে সেটা হল ভাইরাস তাকে ভাইরাস বলা হয়ে থাকে। তাহলে
আমরা এখান থেকে জানতে পারলাম ভাইরাস জীবদেহের অভ্যন্তরে জীবিত কিন্তু জীবদেহের
বাইরে ভাইরাস নিষ্ক্রিয়।
আমাদের শেষ কথা
আমরা আমাদের এই পোস্টটি বিভিন্ন বই দেহে তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার
চেষ্টা করেছি আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। আমরা আমাদের পোস্টে ১০০% নির্ভুল তথ্য
দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাদের পোস্টে ভাইরাসের অনেক তথ্য দেওয়া আছে যেগুলো
আপানাদের উপকারে আসবে।
আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটা কমেন্ট করবেন এবং
আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আমাদের পোস্টের মধ্যে কোথাও আপনার ভুল
মনে হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে বা whatsapp এ জানাবেন। বাংলায় আরও সকল ধরনের তথ্য
পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য ভালো থাকবেন আসসালামু
আলাইকুম
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url