তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

প্রিয় পাঠক, পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে তাহাজ্জতের নামাজ ধরা হয় সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ আপনি নিশ্চয়ই জানতে আগ্রহী, আমদের এই পোস্টের মধ্যে জানানো হবে তাহাজ্জত নামাজ  সম্পর্কে, তাই জানতে আমাদের পোস্টটি মনযগ সহকারে পড়ুন। আশা করি তাহাজ্জত নামাজ সম্পর্কে আপনি একটি পরিপূর্ণ ধারনা পাবেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,ফজিলত

মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেছেন তিনি তাহাজ্জতের সময় মানে শেষ রাতে প্রথম আসমানে নেমে আসে, এবং বান্দার দোয়া কবুল করে তাই তাহাজ্জতের নামাজ এর গুরুত্ব অনেক তাই চলুন তাহাজ্জত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম - তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সহ বিস্তারিত তাহাজ্জত সম্পর্কে

ভূমিকা

আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাকে জানানোর চেস্টা করবো, তাহাজ্জতের নামাজ এর নিয়ম সম্পর্কে, আপনি কিভাবে তাহাজ্জতের নামাজ পরবেন, তাহাজ্জত নামাজের নিয়ত সম্পর্কে, তাহাজ্জত নামাজের বাংলা নিয়ত, আরবি নিয়ত বাংলা উচ্চরন-সহ, মহিলয়াদের তাহাজ্জত নামাজের নিয়ত সম্পর্কে, 

এছাড়াও তাহাজ্জত নামাজের পরে কি আমল করবেন, কি কি তাজবিহ পাঠ করতে হয়, কি দুয়া পাঠ করতে হয়, এশার নামাজ পরে তাহাজ্জতের নামাজ পরা যাবে কি না, তাহাজ্জত নামাজ পরে আল্লাহ্‌র কাছে কিছু চাইলে কবুল করে কিনা, তাহাজ্জত নামজের ফজিলিত সম্পর্কে ইত্যাদি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই পোস্টে। 

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুদ অর্থ হলো ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করা অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে যে নামাজ আদায় করা হয় তাকে তাহাজ্জুদের নামাজ বলে। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর বা সালাতের পর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নামাজ হলো তাহাজ্জুদ। 

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে সুরা- "আল-যারিয়াত" উল্লেখ করেছেন যে, "কা-নূ ক্বলীলাম্ মিনাল্ লাইলি মা-ইয়াহ্জ্বা‘ঊন্" (كَانُوا قَلِيلًا مِنَ اللَّيْلِ مَا يَهْجَعُونَ) বাংলা আনুবাদ- "রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো "। অবিল্ আস্হা-রি হুম্ ইয়াস্ তাগ্ফিরূন্ (وَبِالْأَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُونَ) বাংলা আনুবাদ- "আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত"।

পুরুষদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

তাহাজ্জুতের নামাজ দু রাকাত দু রাকাত করে পড়তে হয় আপনি দুই রাকাত থেকে শুরু করে চার রাকাত বা আট রাকাত যত বেশি পড়তে পারেন তত ভালো। এক্ষেত্রে আমরা জানি তাহাজ্জুদ নামাজ হল ঘুম থেকে উঠে যে নামাজ আদায় করা হয় তাই শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে হয়। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

প্রথমত একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জাইগাই দাঁড়ানো তারপরে নিয়ত করা। নিয়ত করা শেষ হলে তাকবিরে তাহরিমা " ‘আল্লাহু আকবার" বলা। তারপরে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলা। অতঃপর ছানা পাঠ করা (ছানাঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআ-লা জাদ্দুকা, ওয়া-লা ইলাহা গায়রুকা)

ছানা পাঠ শেষ হলে সূরা "ফাতেহা" পাঠ করবে এবং সূরা ফাতেহার সাথে মিলিয়ে সূরা পাঠ করবে হবে। এর পরে রুকুতে গিয়ে "সুবহানা রব্বিয়াল আজিম" পাঠ করতে হবে কমপক্ষে ৩ বার। অতঃপর সিজদাহতে গিয়ে "সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা" পাঠ করবে হবে এবং যথারীতি ২য় রাকাত আদায় করে বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু, দরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরে নামাজ শেষ করতে হবে।

মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম

পুরুষদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়মের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই তবে নামাজের আদায় করার ক্ষেত্রে মহিলাদের একটু জীর্ণ শীর্ণ ভাবে নামাজ আদায় করা ভালো এটাই ইসলামের সৌন্দর্য। এছাড়া মহিলারা স্বাভাবিক নিয়মে নিয়মে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত কিভাবে করব

তাহাজ্জুদ নামাজ হোক বা অন্য কোন নামাজ অথবা অন্য কোন আমল সব কিছুর প্রধান সর্ত হলো নিয়ত তাইতো, হাঁ ঠিক তাই তবে আমরা অনেকে এখন হয়তো আবরি নিয়ত না করলে নামাজ হয়না এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা কারন নিয়ত হলো আপনার মনের ইচ্ছে, আল্লাহর কাছে আপনার অন্তরে অন্তরে আত্মসমর্পণ এর ইচ্ছেটাই নিয়ত। তবে প্রচলিত নিয়ত আছে সেটা নিচে দেওয়া হলো

তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত এবং আরবি নিয়ত

বাংলা নিয়তঃ "আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে দু'রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবর। " 

আরবি ভাষায়ঃ ﻧَﻮَﺍﻳْﺖُ ﺍَﻥْ ﺍُﺻَﻠِّﻰَ ﻟِﻠَّّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻰْ ﺻَﻠَﻮﺓِ ﺍﻟﺘَّﻬَﺠُّﺪِ ﺳُﻨَّﺔُ ﺭَﺳُﻮْﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﻣُﺘَﻮَﺟِّﻬًﺎ ﺍِﻟَﻰ ﺟِﻬَﺔِ ﺍﻟْﻜَﻌْﺒَﺔِ ﺍﻟﺸَّﺮِﻳْﻔَﺔِ ﺍَﻟﻠَّﻪُ ﺍَﻛْﺒَﺮُ

বাংলা-উচ্চরনঃ নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা রাকা’আতাই সালাতিত তাহাজ্জুদী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

তাহাজ্জুদ নামাজের মোনাজাত

আরবি উচ্চরনঃ -আল্লাহুম্মা রব্বা জিবরা'ঈলা ওয়া মিকা'ঈলা ওয়া ইসরাফিলা ফাতিরাস সামাওয়াতে ওয়াল আরদি আলিমাল গায়বি ওয়াস শাহাদাতি আনতা তাহকুমু বাইনা ইবাদিকা ফীমা কানু ফীহি ইয়াখতালিফুনা। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফিহী মিনাল হাক্কী বিয়াযনিকা তাহদি মান তাশা'উ ইলা ছিরাতিম মুস্তাকিম।

বাংলা আনুবাদঃ -হে আল্লাহ্‌ ! জিবরা'ঈলা মিকা'ঈলা ইসরাফিলাের প্রভু, আসমান-জমিনের উদ্ভাবক স্রষ্টা, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সবকিছুর জ্ঞানী, যে সকল বিষয়ে ( তোমার বান্দাগণ) মতানৈক্য করেছে তার ফয়সালাকারী হক সম্পর্কে যে মতভেদ (দুনিয়ায়) হচ্ছে সে ব্যাপারে তোমার আনুগ্রহ দ্বারা আমাকে পথ দেখাও। নিশ্চিত তুমি যাকে ইচ্ছে সরল পথ দেখিয়ে থাকো।

এছাড়াও আমরা জানি তাহাজ্জুদ নামাজের সময়টা দোয়া কবুলের জন্য অন্যতম একটি সময় এই সময় আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে আপনি আপনার মনের যা ইচ্ছা দোয়া করবেন কারণ মহান আল্লাহ তাআলা এই সময়ে প্রথম আসমানে নেমে আসে এবং বান্দাদের তার কাছে চাইতে বলেন। এবং আল্লাহর বান্দের নেক জাইয়েজ দোয়া কবুল করে নেয়।

তাহাজ্জুদ নামাজের পরে আলম

তাহাজ্জত নামাজের পরে আপনি চাইলে অনেক ধরনের আমল করতে পারেন। তবে আমরা আপনাকে এই পোস্টে দেখাব কিছু দোয়া তাজবিহ। এই আলমগুলো পরে আল্লাহ্‌র কাছে চাইতে পারেন। এই তাজবিহ বা দোয়াগুলো পরার আগে দরুদ পাঠ করতে পারলে ভালো। চলুন তবে দোয়া গুল যেনে নেওয়া যাক।

তাহাজ্জুদ নামাজ কি দোয়া পড়তে হয়

▶ আরবি উচ্চরনঃ "-আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা, ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আফাফা; ওয়াল গেনা "

বাংলা আনুবাদঃ "হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে হেদায়েত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা তাকওয়া কামনা করি এবং আপনার কাছে সতীত্ব তথা পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ সামর্থ্য ও সচ্ছলতা কামনা করি"। (মুসলিমঃ ২৭২১; তিরমিজিঃ ৩৪৮৯; ইবনে মাজাহঃ৩৮৩২;)

▶ আরবি উচ্চরনঃ "আল্লাহ-হুম্মা ইন্নী আসালুকা বি-আন্না লাকাল হা'মদু লা-ইলা-হা ইল্লা ইন্তা ওআহ'দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন ইয়া বাদীআ'স সামা ওয়াতি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালিকা ওয়াল ইকরা-ম। ইয়া হাইয়ু্ ইয়া ক্বইয়ুম"।

বাংলা আনুবাদঃ "-হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার জন্য কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোন সত্য ইলাহ নে্‌ আপনার কোন শরীক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ এবং জমিনের স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরজীবী, চিরস্থায়ী! 

▶ আরবি উচ্চরনঃ "- আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কায়্যিমুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া মান ফিহিন্না ওয়া লাকাল-হামদু। লাকা মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ফিহিন্না। ওয়া লাকাল হামদু আংতা নুরুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়া লাকাল হামদু আংতাল হাক্কু। ওয়া ওয়াদুকাল হাক্কু। ওয়া লিক্বাউকা হাক্কু। ওয়াল জান্নাতু হাক্কু। ওয়ান নুরু হাক্কু। ওয়ান নাবিয়্যুনা হাক্কু,

ওয়া মুহাম্মাদুন সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম  হাক্কু। ওয়াস সাআতু হাক্কু। আল্লাহুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়াবিকা আমাংতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু। ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খাসামতু, ওয়া ইলাইকা হাকামতু। ফাগফিরিলি মা কাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু। ওয়া মা আসরারতু, ওয়া মা আলাংতু। আংতাল মুকাূ্দ্দিমু ওয়া আংতাল মুআখ্খিরু। লা ইলাহা ইল্লা আংতা লা ইলাহা গাইরুকা"।

তাহাজ্জুদ নামাজের তাসবিহ

সুবহানাল্লাহি রব্বী আলামিন (বিশ্বজগতের প্রভু মহান আল্লাহ মহাপবিত্র)।

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী (আল্লাহ্‌ মহাপবিত্র এবং সকল প্রশংসা তার)।

ইয়া যাল-যালালি ওয়াল ইকরাম।

ইয়া হা'ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময় বা এশার নামাজের পর পড়া যাবে কি

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে, এশার নামাজের পরে তাহাজ্জুদ নামাজ হয় কিনা? আমরা জানি তাহাজ্জতের নামাজ হলো ঘুম থেকে উঠে যে নামাজ আদায় করা হয়, তবে যদি কেউ এশার নামাজের পরে আদায় করে তবে তাকে কিয়ামুল লাইল বলা হয় এটাও অনেকে তাহাজ্জুদ নামাজ বলে থাকে, এই কিয়ামুল লাইল নামাজ কেও তাহাজ্জুদ নামাজ বলা যাই।

এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করাই সব থেকে বেশি উত্তম। তবে আপনি চাইলে এশার নামাজ পরেও আদায় করতে পারনে। তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম শেষ রাতে নামাজ আদায় করা তবে অনেকের সমস্যা থাকতে পারে সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে এশার নামাজের পরেও তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে পারেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত

আল্লাহ্‌র প্রিয় বান্দা হতে হলে নেক্কার হতে হলে, আল্লাহর পছন্দের হতে হলে তাহাজ্জতের কোন বিকল্প নেই।
▶ আউলিয়াদের কাতারে আল্লাহ সামিল করবেন আমরা যদি নিয়মিত তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে পারি তবে।
▶ আমরা যদি নিয়মিত তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে পারি তবে, তাহাজ্জতের নামাজ আমাদেরকে আল্লাহর একদম ঘনিষ্ঠ বা নিকটবর্তী বানাই দিবে ইনশাআল্লাহ।
▶ আমরা যদি নিয়মিত তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে পারি তবে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের গুণাসমূহ মাফ করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।
▶ আমরা যদি নিয়মিত তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে পারি তবে, তাহাজ্জতের নামাজ আমাদেরকে গুনাহ এবং নাফরমানি থেকে বিরত রাখবে ইনশাআল্লাহ।

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে কিছু চাইলে কি কবুল হয়

নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, "প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলেন, যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দেব। যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দান করব। যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব এজন্যই আমরা তাহাজ্জত নামাজের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিবো ইনশাআল্লাহ।

তাহলে আমরা এই হাদিস থেকে বুঝতে পারলাম যে তাহাজ্জতের আল্লাহ্‌র কাছে কিছু চাইলে কবুল হওয়ার সম্ভবনা কতটা। তাহাজ্জতের সময়ে মানে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে আল্লাহ তায়ালা প্রথম আসমানে নেমে আসে এবং বান্দাকে বলতে থাকে তার কাছে চাওয়ার জন্য। তাই আমরা বেশি বেশি তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করার চেস্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

লেখকের মন্তব্য

তাহাজ্জের নামাজ অনেক ফজিলত পূরণ নামাজ যেটা আপনি নিশ্চয়ই আমাদের এই পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারছেন। আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের সব থেকে ভালো উপায় তাহাজ্জতের নামাজ। আমরা অনেকেই আছি জারা যারা তাহাজ্জতের নামাজ আদায় করতে চাই কিন্তু তাহাজ্জত সম্পর্কে জানিতাম না ঠিক মতো আশা করি আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটা কমেন্ট করবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আমাদের পোস্টের মধ্যে কোথাও আপনার ভুল মনে হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে বা whatsapp এ জানাবেন। বাংলায় আরও সকল ধরনের তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url