ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সম্পর্কে ভিটামিন ডি এরা হবে আপনার কি সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি সম্পর্কে? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার সহ অন্যান্য অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন


ভিটামিন ডি এর অভাবের লক্ষণ কি কি দেখা যাই ভিটামিন ডি আমাদের শরীরে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ  সে সম্পর্কেও আপনাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জানানো হবে। চলুন তবে দেরি না করে আমাদের মূল পোস্টটি শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা এবং অভাবের লক্ষণ 

ভূমিকা

এই আর্টিকেলে মাধ্যমে আপনাকে চাপানোর চেষ্টা করব ভিটামিন সি যুক্ত খাবার কি কি সে সম্পর্কে, ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের কি কি সমস্যা হতে পারে সেটা সম্পর্কে, ভিটামিন সি এর অভাবে চুল পড়ে যায় কিনা, কিভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে ভিটামিন সি এর ঘাটতি আছে সে সম্পর্কে, ভিটামিন সি এর অভাবে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় ইত্যাদি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এই পোস্টের মধ্যে করা হয়েছে। 

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের একটি তালিকা

▶ তৈলাক্ত মাছ: স্যামন, পোনা, পাঙ্গাস মাছ প্রভৃতি তৈলাক্ত মাছে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে

▶ মাশরুম: মাশরুমে ভিটামিন ডি আছে।

▶  ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি এর দারুণ উৎস।

▶ ফর্টিফাইড ফুড: ফর্টিফাইড ফুডে প্রচুর ভিটামিন ডি থাকে।

▶ গরুর দুধ: গরুর দুধ তৈলাক্ত এবং ভিটামিন ডি যুক্ত।

▶ সয়াদুধ: সয়াদুধে ভিটামিন ডি রয়েছে।

▶ ওটস ও বাদামী চাল: ওটস ও বাদামী চালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে।

▶ দই: দই ভিটামিন ডি যুক্ত

▶ ডুপুর: ডুপুরে অথবা সোয়াবিন একটি উত্তম ভিটামিন ডি উৎস।

▶ গম ও রাগী: গম ও রাগী তৈলাক্ত এবং ভিটামিন ডি যুক্ত

▶ সূর্যালোক: সূর্যালোক ভিটামিন ডি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, তাই রোজ সূর্যার আলোকে সময় কাটাতে গুরুত্বপূর্ণ।

এই খাবারগুলো খেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এই খাবার গুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তবে আপনার ভিটামিন ডি তে কোন অভাব হবে না আশা করা যাই। তবে আমরা যেই খাবার গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি আগুলোই মূলত প্রধান খাবার ভিটামিন ডি যুক্ত।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি কি সমস্যা হয়

▶ ইনফেকশন জনিত সমস্যাঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে ইনফেকশন বেড়ে যায়, কাটা বা ক্ষত শুকাতে বিলম্ব হয়।

▶ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়, যা পেশি দুর্বল করে, হাড় ভঙ্গুর বা ক্ষয় হতে পারে।

▶ রোগ ব্যাধির বৃদ্ধিঃ সর্দি-কাশি, টনসিলের প্রদাহ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

▶ হাড়ে বা মাংসপেশী ব্যথাঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ে বা মাংসপেশীতে ব্যথা অনুভব হতে পারে

▶ অস্বাভাবিক অসুস্থ হাড় অবস্থাঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় অস্বাভাবিক অবস্থায় যেতে পারে, যেটি রিকেটসাইট হাড়ের আকার পরিবর্তন হতে পারে এবং হাড় শক্তি হারাতে পারে।

▶ মাস্কুলার শক্তি এবং শক্তি হারঃ ভিটামিন ডি অভাবে মাস্কুলার শক্তি হারাতে পারে এবং শক্তি কমতে পারে।

▶ অস্বাভাবিক অবস্থায় হাড়ে ভাঙ্গাঃ ভিটামিন ডি অভাবে হাড় অস্বাভাবিক অবস্থায় হতে পারে, যা রিকেটসাইট হাড়ের শক্তি হারাতে পারে এবং হাড় ভাঙ্গার জন্য সহায়ক হতে পারে।

▶ হাড় এবং দাঁতের সমস্যাঃ ভিটামিন ডি অভাবে হাড় এবং দাঁতে সমস্যা হতে পারে, যেমন দাঁতের দুর্বলতা এবং দাঁতের মেয়াদকাল কমে যাওয়া।

▶ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসঃ ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি অভাবে হলে এই সমস্যাগুলি উৎপন্ন হতে পারে, এবং যেগুলি সময়ের সাথে বাড়াতে পারে যদি সঠিকভাবে পূরণ না হয়। ভিটামিন ডি অধিকাংশই সূর্যের আলো এর মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, তাই সূর্যালো প্রাপ্ত করা ও খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যাগুলি পূরণ করা যেতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি চুল পড়ে যায়

ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পড়তে পারে। ভিটামিন ডি চুলের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পুষ্টি হলেও অতিরিক্ত ঘাটতি হতে পারে। চুল পড়ার অনেক সম্ভাব্য কারণ রয়েছে এবং কিছু ঘাটতি যা মারাত্মক চুল পড়ার কারণ হতে পারে তার মধ্যে হল ভিটামিন ডি, যা চুল পরার একটি অন্নতম কারণ হতে পারে। কারন-

ভিটামিন ডি শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফেট সঠিকভাবে সংযোজনে সাহায্য করে, যা অস্তির এবং সুস্থ চুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি ভিটামিন ডি এর অভাব হয় তবে চুল পরে যেতে পারে। এছাড়াও, ভিটামিন ডি চুলের মেলানিন নির্মাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে, যা চুলের রঙ নির্ধারণ করে।
ভিটামিন ডি নতুন চুলের কোষের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চুল আর গজায় না। এই ঘাটতি সিবামের উত্পাদন বাড়ায়, যা চুল পড়ার সাথে সম্পর্কিত। যদি আপনি চুল পড়ার কোনও দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখেন, তাহলে নিজেকে ভিটামিন ডি-এর জন্য পরীক্ষা করতে পারেন।

ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ

▶ চুল পড়া

▶ অস্বস্তি এবং মানসিক অবসাদ ভিটামিন ডি অভাবে অস্বস্তি ও থাক্তা অনুভূত হতে পারে, যা মাসিক সময়ের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

▶ ওজন বৃদ্ধিঃ হু হু করে ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ কিন্তু হতে পারে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি।

▶ হাড় এবং পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথাঃ ভিটামিন ডি অভাবে হাড় এবং পেশিতে দুর্বলতা এবং ব্যথা দেখা দেয়।

▶ অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং পিঠে ব্যথাঃ অস্থিসন্ধিগুলির বিকৃতি এবং দীর্ঘস্থায়ী পিঠে ব্যথা হতে পারে।

▶ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগঃ ভিটামিন ডি অভাবে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ দেখা দিতে পারে, যা ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন।

ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি

ভিটামিন ডি যুক্ত শাকসবজি খুব বেশি পাওয়া যাই না। তার পরেও যেই খাবার গুলোতে পাওয়া যাই সেগুল বলা হল। এছাড়াও আমরা এই পোস্টের মধ্যে ওপরের অংসে অংশে দেখিএছি কোন কোন খাবার গুলোতে ভিটামিন ডি বেশি পাওয়া যাই। আপনি শুধু সাক্সব্জি না যেকোনো খাবার খেয়ে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে পারেন।

মাশরুম ভিটামিন ডি এর জন্য অনেক ভালো একটি খাবার হতে পারে। আপনি আপনার খাবার তালিকাই ভিটামিন এর অভাব পূরণরে জন্য সবজি রাখতে চাইলে মাশ্রুম রাখতে পারেন।মাশরুমে ভিটামিন ডি পাওয়া যাই।
কর্ডলিভার ওয়েল এটা একটা ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। আপনি চাইলে এই খাবার টি খেতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্য

ভিটামিন ডি সম্পর্কে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার সম্পর্কে ভিটামিন ডি এর অভাব থাকলে কি হতে পারে সে সম্পর্কে ইত্যাদি কিছু বিষয় সম্পর্কে ভিটামিন ডি এর একটি স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে। আপনিও সুস্থ থাকতে আপনার খাবার তালিয়াই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।
আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটা কমেন্ট করবেন এবং আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আমাদের পোস্টের মধ্যে কোথাও আপনার ভুল মনে হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে বা whatsapp এ জানাবেন। বাংলায় আরও সকল ধরনের তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য ভালো থাকবেন আসসালামু আলাইকুম

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url